
কেন বাংলাদেশি তরুণদের প্রথম পছন্দের তালিকায় রয়েছে পাঞ্জাবি
কথায় আছে, 'বাঙালির বাঙালিয়ানা, পাঞ্জাবিতে ষোল আনা। যেকোনো অনুষ্ঠানে ছেলেদের পছন্দের পোশাক পাঞ্জাবি। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আমরা আধুনিক হয়েছি এবং আমরা পোশাক হিসেবে প্যান্ট-শার্ট, কোট-টাই পরেছি। কিন্তু আমাদের পছন্দের প্রথম দিকে পাঞ্জাবিই রয়েছে। আমাদের রুচির পরিবর্তনের ফলে পরিবর্তিত হয়েছে পাঞ্জাবির নান্দনিকতা এবং ডিজাইন।
অনুষ্ঠান কিংবা যে কোনো আয়োজনে বাঙালি ছেলেদের মনে পাঞ্জাবির যে আবেদন তা ফুরিয়ে যাবার মতো নয়। একইসাথে অনেকের কাছেই স্বাচ্ছন্দ্যের পোশাক হলো পাঞ্জাবি। ঈদ কিংবা বিয়ের আয়োজননে পাঞ্জাবি আমাদের পছন্দের শীর্ষে।
প্রাচীনকালে পাঞ্জাব অঞ্চলের অধিবাসীরা হাটু পর্যন্ত কাপড় পরিধান করত। তাদের সেলাই ছাড়া গায়ে জড়িয়ে রাখা সুতি কাপড়ই কালের বিবর্তনে রূপ নিয়েছে আজকের পাঞ্জাবিতে। উৎপত্তিস্থল না হয়েও বাঙালি সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য পরিধেয় বস্ত্র 'পাঞ্জাবি'। যেকোনো উৎসব অনুষ্ঠানে বয়সের বিভেদ ভুলে পুরুষের গায়ে শোভা পায় পাঞ্জাবি। নানান রঙ-ঢঙ, কারুকাজ তরুণ প্রজন্মের কাছে পাঞ্জাবিকে করেছে অত্যধিক জনপ্রিয়। শাড়িতে যেমন যেকোনো নারীর সৌন্দর্য ফুটে ওঠে, ঠিক তেমনি পাঞ্জাবি পুরুষের রুচিবোধ ফুটিয়ে তোলার পাশাপাশি তাকে আকর্ষণীয় করে তোলে।
বিয়ে, গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে যেকোন উৎসব পার্বনে পাঞ্জাবির গ্রহণযোগ্যতা বেড়েই চলছে। ফ্যাশন সচেতনতার ভাবনা থেকেও বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া তরুণ প্রজন্ম পোশাক হিসেবে পাঞ্জাবিকে প্রাধান্য দিচ্ছে।
সাম্প্রতিক সম্প্রচারের প্রভাব: পাঞ্জাবি ভাষা বিশেষভাবে সম্প্রচারিত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা ও তার উপটাউন এলাকাগুলির মধ্যে। যেমন বাংলা পপুলার হয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে, এভাবে পাঞ্জাবি পপুলার হয়েছে বাংলাদেশের কলকাতা এলাকাগুলিতে। এতে বাংলাদেশী তরুণদের মধ্যে পাঞ্জাবি প্রচলিত হয়ে গিয়েছে।
সাংস্কৃতিক মিলন: বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে সাংস্কৃতিক যোগাযোগ বেশি দৃশ্যমান হয়েছে। পাঞ্জাবি ভাষা বাংলা ভাষার কিছু শব্দ এবং সাংস্কৃতিক উপাদানে মিশে পশ্চিমবঙ্গীয় সাংস্কৃতির সাথে সাংক্রান্তিক তালিম ও প্রচার সম্পন্ন হয়েছে।
ভাষার রুচি: তরুণদের মধ্যে ভাষার রুচি বিভিন্ন হতে পারে। পাঞ্জাবি ভাষা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা এলাকাগুলিতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়, তাহলে বাংলাদেশী তরুণদের মধ্যে এই ভাষা প্রথম পছন্দে থাকতে সম্ভব।
পরিবেশের প্রভাব: সমাজের প্রচুর পরিবেশের প্রভাবে ভাষার পছন্দ পরিবর্তিত হতে পারে। যেমন, বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের সদস্যরা কোনো নির্দিষ্ট ভাষা কথা বলতে থাকলে, তরুণদের মধ্যে সেই ভাষার প্রচুর ব্যবহার দেখা যায়।